Inspirational journeys

Follow the stories of academics and their research expeditions

দ্রুত শেখার কার্যকরী কৌশল

Alvi Ahmed

Fri, 18 Apr 2025

দ্রুত শেখার কার্যকরী কৌশল

দ্রুত শেখার ব্যাপারটা হচ্ছে টাইম ম্যানেজমেন্ট এর উপর গুরুত্ব দিয়ে সমস্যা সমাধানের স্কিল অর্জনের একটি প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে খুব সহজেই প্রচুর তথ্য জানা এবং মনে রাখা যায়। দ্রুত শেখার ক্ষমতা একটি টিমওয়ার্কেও বেশ কাজে আসে। কিছু কার্যকরী টেকনিক যা তোমাকে দ্রুত শিখতে সাহায্য করবেঃ

 

১. লক্ষ্য নির্ধারণ করো

একটা পড়া কেন পড়তে হবে অথবা কেন শিখতে হবে, এই ব্যাপারটা শুরুতেই ঠিক করে নেওয়া প্রয়োজন। শেখার ব্যাপারটা কেবল সময় কাটানোর জন্য হলে সেটার জন্য তেমন একটা আগ্রহ থাকে না। এক্ষেত্রে সুস্পষ্ট লক্ষ্য ঠিক করে রাখা তোমাকে ফোকাসড এবং এনারজেটিক রাখবে। যাতে বারবার ডিস্ট্র্যাক্ট হলেও তোমার নির্ধারিত লক্ষ্য তোমাকে সেই স্বপ্নের পথে অবিচল রাখে।

 

২. হাতে কলমে নোট করো

কম্পিউটারাইজড ডিজিটাল নোট করা দ্রুত ও সহজ একটি মাধ্যম। কিন্তু, হাতে কলমে নোট করলে সেটা একটি টপিককে আরও গভীরভাবে শিখতে, বুঝতে এবং শেখার দক্ষতা বিকাশে সাহায্য করে। নোট যত ভালো হবে, তুমিও তত দ্রুত শিখতে পারবে। এজন্য প্রয়োজনীয় রঙিন কালি, হাইলাইটার এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ নিয়ে পড়তে বসো।

 

৩. শিখো এবং শেখাও

শিক্ষকেরা যখন ক্লাস নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হন, তখন তারা একটি টপিকের জিস্ট এবং কীভাবে সেটা একটা সঠিক ফ্রেমওয়ার্কে স্পিচ দেওয়া যায় সেটার দিকে গুরুত্ব প্রদান করেন। ঠিক একইভাবে আমাদের তৈরি করা নোট নিয়ে গ্রুপ স্টাডি করলে শেখার গতি বাড়িয়ে আরও কার্যকর পদ্ধতির সাথে যুক্ত হওয়া যায়। কারণ, এতে অন্য কাউকে সরাসরি শেখানোর সুযোগ তৈরি হয়, যেটা তোমার পড়ার গতিকে আরও বহুগুণে অগ্রসর করে তুলবে।

 

৪. নিজেই নিমোনিক বানাও

তোমার যদি প্রচুর তথ্য দ্রুত মুখস্থ করার প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে একটি টপিককে ভেঙ্গে ছোট করে নিমোনিক ব্যবহার করে পড়াটা অত্যন্ত কার্যকর। নিমোনিক হতে পারে একটি টপিকের বিভিন্ন পয়েন্টগুলোর প্রথম অক্ষর, শব্দ, প্যাটার্ন কিংবা কবিতা আকারে লাইন। এখন অনেক বইতে সরাসরি নিমোনিক দেওয়া থাকে। যেকোনো টপিক নিয়ে নিজেই বানিয়ে ফেলো মনে রাখার টেকনিক।

 

৫. বিরতি নিয়ে পড়ো

নতুন কিছু শেখার জন্য অতিরিক্ত প্রেশার এবং ওভারলোড মস্তিষ্ককে তথ্য স্টোর বা এক্সিকিউট করতে বাধা দেয়। কুঠারে ধার না দিয়ে একটানা গাছ কাটার গল্পটা আমরা অনেকেই জানি।  ঠিক তেমনি একটানা দীর্ঘসময় না পড়ে পড়ার মাঝখানে বিরতি নিয়ে নিয়ে পড়া যেতে পারে। যেমন, একটানা ২৫ মিনিট পড়ে ৫ মিনিট বিরতি বা ন্যাপ নিতে পারো। এই ২৫ মিনিট পড়ার সময়টার ব্যক্তিভেদে ভিন্নতা থাকে, হয় কম নয়তো বেশি।

 

৬. বিভিন্ন আঙ্গিকে অনুশীলন করো

একটি পড়া বারবার লিখে পড়াটা বেশ কাজে আসে। এক্ষেত্রে, একাধিকবার অনুশীলন করলেও সেটা হওয়া উচিত বিভিন্ন আঙ্গিকে। যেমন, ইন্টারনেটে একটি টপিকের অনেক ভালো ভালো রিসোর্স পাওয়া যায়। চার্ট, ডায়াগ্রাম অথবা প্রাসঙ্গিক চিত্র অর্থাৎ, যেটা তোমার শেখাকে আরও সহজ ও প্রাণবন্ত করে আয়ত্ত করতে সহজ করে তুলবে সেভাবেই প্র্যাকটিস করো। শেখার জন্য তথ্যকে তোমার আগের জানা তথ্যের সাথে অথবা রিয়েল লাইফ উদাহরণ এর সাথে রিলেট করতে পারো। 

 

 

দ্রুত নতুন কিছু শিখতে পারার মাধ্যমে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান এবং চিন্তার বিকাশ ঘটিয়ে তোমাকে আরও দক্ষ ও প্রোডাক্টিভ করে তুলবে। নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে লক্ষ্য অর্জনে নিজস্ব এই দক্ষতা আরও আত্মবিশ্বাসী করবে। আর জানোই তো, “বিজয়ীরা ভিন্ন কিছু করে না, তারা একই কাজ ভিন্নভাবে করে!”


ই-পেপার লিংকঃ আজকের পত্রিকা, ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ 

আলভি আহমেদ, সহ-প্রতিষ্ঠাতা, ম্যাথট্রনিক্স

 

0 Comments

Leave a comment