Follow the stories of academics and their research expeditions
সুপ্রিয়
শিক্ষার্থীরা, তোমাদের অনেকেই জানো, পরীক্ষার খাতায় চিত্র আঁকতে পারলে সেটা বেশ
গুরুত্ব বহন করে, খাতার সৌন্দর্যও বৃদ্ধি করে। এতে করে ভালো নম্বরও পাওয়া যায়।
কিন্তু চিত্র তো অনেকেই আঁকে। প্রথাগত চিত্র আঁকার সীমাবদ্ধতার ইতিবৃত্ত থেকে বের
হয়ে ভিন্নধর্মী কিছু কৌশল শেখা যাক!
পরীক্ষার
জন্য সব টপিকের চিত্র আঁকার প্রয়োজন নেই। বরং কিছু গুরুত্বপূর্ণ চিত্র বারবার
প্র্যাক্টিস করে নিতে পারো।
·
চিত্র গুলো সম্ভব হলে
রঙিন এবং ভালো ভাবে চিহ্নিত করে ফেলো। গুরুত্বপূর্ণ চিত্র গুলো কয়েকবার করে একটা
রাফ খাতা নিয়ে অনুশীলন করো। কোনোমতে একবার করে এঁকে রাখলে হয়ত পরীক্ষার সময় ভুলে
যেতে পারো এবং এতে বেশ অসুবিধা হতে পারে।
·
চিত্র এঁকে এঁকে পড়াটা
একটি টপিককে তথ্যবহুল ভিজ্যুয়ালাইজ করার একটা সহজ ও কার্যকরী মাধ্যম। এর জন্য কল্পনাতীত
ভালো শিক্ষার্থী হওয়া নিষ্প্রয়োজন। আর এই পুরো ব্যাপারটা এক ধরণের স্কিল বা
দক্ষতার মধ্যেও অন্তর্ভুক্ত যা পর্যাপ্ত অনুশীলনের মাধ্যমে সঠিক উপায়ে শেখা যায়।
·
হয়ত এমন পরিস্থিতির মধ্যে
দিয়ে কেউ কেউ গিয়েছো, যখন লেখার জন্য শব্দ চিন্তা করে পাচ্ছো না, ঠিক তখনি টপিকটির
চিত্র এঁকে ফেলতে পারলেই দেখবে সেটার বর্ণনা খুব সহজেই লিখে ফেলতে পারবে।
ধারণাগুলোও দৃশ্যমান হবে।
·
একটি ভালো চিত্র, পরীক্ষার খাতা যিনি চেক করবেন, তার কাছে তোমার খাতা নিয়ে ইতিবাচক চিন্তাই
আসবে। তুমি যে টপিকটি ঠিকঠাক অনুধাবন করতে পেরেছো সেটারই এটা একটা কার্যকর বার্তা।
এটা তোমাকে ভিজ্যুয়াল ভাষা সর্বোপরি একজন সফল ছাত্র হতে সাহায্য করবে।
·
এক পেইজ বর্ণনামূলক লেখা
পড়ো এবং একটি চিত্র চিহ্নিত করে সেটার বর্ণনা পড়ো। দেখবে চিত্র এঁকে পড়াটাই তোমার দীর্ঘদিন
মনে আছে। এটা তোমাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করতে সাহায্য করবে।
বেশিরভাগ
পরীক্ষার্থীই চিত্র আঁকার সময় যেভাবে আঁকে, সেটা দেখে নেওয়া যাক। উদাহরণ দেওয়ার
জন্য হৃৎপিণ্ডের বাহ্যিক গঠনের চিত্রটা দিয়ে দেখালাম।
অথচ
এই একই চিত্রটাই চাইলে একটু ভিন্নধর্মী পরিকল্পনা করলে এভাবেও আঁকা যেত। খেয়াল
করলে দেখবে, এটাতে খুব বেশি কিছু সংযোজন করা নেই। চিত্রটা আঁকার পরে সেটাকে বক্স
করে আর অ্যারো চিহ্ন দিয়ে সবগুলো অংশকে ডান দিকে চিহ্নিত
করে দিলাম। এটা চাইলে রঙিন কালি দিয়ে লিখতে পারো, সেটা হতে পারে নীল রঙের কালি।
এরপর চিত্রের নিচে নীল রঙের কালি দিয়ে সেটা কীসের চিত্র আঁকলাম, সেটা লিখে দিলাম।
এই তো হয়ে গেল সবার চেয়ে ব্যতিক্রমী অসাধারণ একটি চিত্র!
ডিজিটালাইজেশনের
এই যুগে এখন ইন্টারনেটে প্রায় প্রতিটা টপিকের ত্রিমাত্রিক চিত্র ও সেগুলো বর্ণনা
বুঝতে পারার টুলস ও এনিমেটেড ভিডিয়ো লেকচার পাওয়া যায়। এগুলো থেকে সাহায্য নিতে
পারো।
ঠিকঠাক চিত্র আঁকার ব্যাপারটা তোমার সৃজনশীল মস্তিষ্ককে ভিন্ন মাত্রায় চিন্তার সুযোগ করে দেয় এবং একই সাথে একটা নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করারও। পরীক্ষার খাতায় চিত্র এঁকে তুমিও বাজিমাত করে ফেলতে পারো। জানোই তো, ‘সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়!’
ই- পেপার লিংকঃ আজকের পত্রিকা, ১৪ নভেম্বর ২০২২
আলভি আহমেদ, সহ-প্রতিষ্ঠাতা, ম্যাথট্রনিক্স
Mon, 09 Jan 2023
Mon, 09 Jan 2023
Leave a comment